রোববার ১৯ মে ২০২৪ জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১ ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২২
পাবনার বেড়া উপজেলায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে একটি চক্র অভিনব পদ্ধতিতে মৌসুমি পাখি শিকারে মেতে উঠেছে। তারা বিভিন্ন নদী, হাওর, বিল, জলাশয় থেকে বক, পানকৌড়ি, বালিহাঁসসহ নানা প্রজাতির পাখি শিকার করে জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
জানা গেছে, নদী, বিল, ডোবা ও জলাশয় বেষ্টিত বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নের-পেঁচাকোলা, মহনগঞ্জ, নাকালিয়া, কৈতলা-ইউনিয়নের রাকসা, মাছখালি, পুরান ভারেঙ্গা-ইউনিয়নের নাটিয়াবাড়ি, নগরবাড়ি মাসুন্দিয়া ইউনিয়নের-নটাখোলা, কাজিরহাট এলাকায় সন্ধ্যার পর পাখি শিকারিরা তাঁদের শিকার করা পাখি বিক্রি শুরু করেন। শিকারিরা মূলত বক বেশি শিকার করেন। এক জোড়া ‘বক’ পাখি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেন তাঁরা। তাঁরা সারা দিন ধরে পাখিগুলো ওই সকল এলাকার বিভিন্ন জলাশয়ে ফাঁদ পেতে শিকার করেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীরা।
এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, চলতি সময়ে নদী, বিল, ডোবার জল কমে চর জেগে ওঠায় প্রতিদিন শত শত বক ওই সকল স্থানে খাদ্যের সন্ধানে বিচরণ করে। এ সময় শিকারিরা ফাঁদ পেতে পাখিগুলো আটকা পড়ে। পরে শত শত পাখি খাঁচাবন্দী করে রাখেন। সন্ধ্যার পর সেগুলো বিক্রি করতে পাড়া-মহল্লার সরু গলিগুলোকে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নেন শিকারিরা। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় ক্রেতারও সেগুলো কিনে নেন।
বেড়া উপজেলার মনজুর কাদের ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বক শিকার করায় আমাদের প্রাকৃতিক ও জীব বৈচিত্র্যে হুমকির মুখে পড়ছে। শিকারিরা পাড়া-মহল্লার সরু গলিগুলোকে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়ে পাখি বিক্রি করেন। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের আটক করা সম্ভব হয় নয়।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সবুর আলী বলেন, পাখি শিকার ও ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ ও তথ্য পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়